হযরত গাজীউল মূলক ইকরাম ইব্রাহীম বোগদাদী শাহ্ ( রহঃ) এর মাজার। ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি বঙ্গ বিজয়ের পরত্রয়োদশ শতকের দ্বিতীয় দশকে হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর সফরসঙ্গী (১২১৪খৃঃ) বিখ্যাত দরবেশ হযরত গাজীউল মূলক ইকরাম ইব্রাহীম বোগদাদী শাহ্ ( রহঃ)সিংগাইর উপজেলা পারিল নামক গ্রামে আগমন করেন ও খানকা প্রতিষ্ঠা করে ধর্মপ্রচার করেন। স্থানীয় অগণিত নারী পুরম্নষ ভক্ত তাঁর নিকট ইসলামের দীÿায়দীÿÿত হন। উক্ত দরবেশের মাজারে তাঁর সঙ্গে আনীত বড় বড় পাথর খন্ড এখনও আছে।মাজারের সমাধি গাত্রে উৎকলিত শিলালিপি হতে তাঁর পরিচয় ও আগমন তারিখ জানাযায়। নিঃসন্দেহে উক্ত মাজার শরীফই সিংগাইর উপজেলা তথা সমগ্র মানিকগঞ্জজেলার সর্ব প্রাচীন মুসলিম পুরার্কীর্তি ।
জনশ্রম্নতি আছে যে, হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর সফরসঙ্গী ৩৬০ জনআউলিয়ার একজন হযরত গাজীউল মূলক ইকরাম ইব্রাহীম বোগদাদী শাহ্ ( রা) ইসলামধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পারিল গ্রামে আগমন করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে অত্রএলাকায় ( পারিল নোয়াদ্দ) অত্যমত্ম গভীর পানি ছিল। তখন হযরত গাজীউল মূলকইকরাম ইব্রাহীম বোগদাদী শাহ্ ( রা) তাহার সফরসঙ্গী একজন কাপ্তানকে বললেন যে, এখানে নোঙ্গর ফেলো । কাপ্তান তখন অবাক বিস্ময় হয়ে হুজুরকে জিজ্ঞাসাকরলেন এখানে অথৈ পানি নোঙ্গর ফেললে মাটি পাওয়া যাবেনা।তখন আলস্নাহর রহমতেহযরত গাজীউল মূলক ইকরাম ইব্রাহীম বোগদাদী শাহ্ ( রহঃ) নোঙ্গর ফেলার সাথেসাথে মাটির সন্ধান পায় এবং অথৈয় পানিতে চর জেগে উঠে। উক্ত চরে হযরত গাজীউলমূলক ইকরাম ইব্রাহীম বোগদাদী শাহ্ ( রহঃ) আসত্মানা স্থাপন করে ইসলাম ধর্মপ্রচার শুরম্ন করেন। কয়েক বছর ইসলাম ধর্ম প্রচার করার পর তিনি আনুমানিক১২৩০ খৃঃ মোতাবেক ৬৩৯ বঙ্গাব্দে ১৩ ফাল্গুন ইহলোক ছাড়িয়া পরলোক গমন করেন।অবস্থান: সিংগাইর, মানিকগঞ্জ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস